ইউক্রেনের স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করে এটির নিয়ন্ত্রণ নেয় রাশিয়া।
তাদের করা গোলাবর্ষণের কারণে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশে থাকা একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আগুন ধরে যায়।
রাশিয়ার এমন বিপজ্জনক কাণ্ডের পর হতবাক পুরো বিশ্ব। যদি কোনো বড় দুর্ঘটনা ঘটত তাহলে কি হতো সেটি ভাবতেই আঁতকে উঠছেন অনেকে।
ফলে রাশিয়ার নিন্দায় মুখর যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ব্রিটেনের মতো দেশগুলো।
তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি দিয়েছে। সেই বিবৃতিতে তারা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আগুনের ঘটনার জন্য দায়ী করেছে ইউক্রেনকে।
মস্কোর দাবি, কিছু ইউক্রেনীয় নাশকতাকারী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি থেকে রাশিয়ার সেনাদের ওপর হামলা চালায়। এরপর আত্মরক্ষার্থে যখন রুশ সেনারা গুলি চালায় তখন সেসব নাশকতাকারী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগোর কোনাসেনকভ বিবৃতিতে দাবি করে জানান, সোমবার থেকে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু শুক্রবার সকালে ইউক্রেনের কিছু উগ্রপন্থী নাশকতাকারী কেন্দ্রটিতে বড় ধরনের আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করে।
যখন রাশিয়ার সেনারা পাল্টা আক্রমণ করেন তখন ওই নাশকতাকারীরা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশে অবস্থিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আগুন ধরিয়ে দিয়ে চলে যায়।
সূত্র: আল জাজিরা
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।